Yakub Ali Blog Page এ আপনাকে স্বাগতম। এখানে আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক পরামর্শ ও তথ্য জানতে পারবেন।
✍️ উত্তর: মোটা হওয়ার নিরাপদ কোনো ঔষধ নাই। আর হ্যাঁ, মোটা হওয়ার যে ঔষধ গুলো পাওয়া যায়, সে গুলোতে অবৈধ ভাবে স্টেরয়েড মিশিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করে থাকে। এগুলো সেবন করলে খাওয়ার অতিরিক্ত রুচি বেড়ে যায়, তাই বেশি খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত পানি ও চর্বি জমে সাময়িক ভাবে শরীর মোটা দেখাবে, এর ফলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই সব ঔষধ খাওয়া বন্ধ করলে আবার শরীর আবার চিকন হয়ে যাবে। তখন অরুচি, খাওয়ার চাহিদা একেবারেই কমে যাবে। খিটখিটে মেজাজ ঘুমের সমস্যা, বিষন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দিবে। মোটা স্বাস্থ্য বংশগত, জেনেটিকভাবে পাওয়া, আবার অনেকের হরমোন পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, লাইফস্টাইল/পরিবেশগত কারণে যে কোন সময় মোটা হয়ে যেতে পারে। এর জন্য মোটা হওয়ার কোন ঔষধ খেতে হয়না। কোন রিজিস্টার্ড ডাক্তার কাউকেই মোটা হওয়ার ঔষধ দিবেনা। শরীর চিকন হলেও, যদি শরীরে কোন রোগ না থাকে তাহলে ডাক্তারগন কাউকে মোটা হওয়ার ঔষধ দিবেনা।
অসাধু ব্যবসায়ীগন জীবন রক্ষাকারী স্টেরয়েডকে অবৈধ উপায়ে অন্য ঔষধের সাথে মিশ্রন করে বিভিন্ন নাম দিয়ে বাজারজাত করে থাকে, যা সেবন করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তাই মোটা হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার, দুধ, ডিম, ফল ইত্যাদি খাবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন, আর পর্যাপ্ত ঘুমের প্রতি নজর দিন। শারীরিক কোন রোগ থাকলে একজন রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ নিবেন। ওজন বাড়াতে একজন পুষ্টিবিধের পরামর্শও নিতে পারেন। মোটা কে স্বাস্থ্যবান বলেনা। শারীরিক মানসিক ভাবে পরিপূর্ণ সুস্থতাই হলো স্বাস্থ্য।